বিশেষার্ঘ্য স্থাপন
পূজক নিজের বাম দিকে চতুষ্কোণ মণ্ডল করিয়া সেই চতুষ্কোণ মণ্ডলের মধ্যে একটি বৃত্ত
এবং তাহার মধ্যে একটি ত্রিকোণ মণ্ডল করিবে এবং সেই ত্রিকোণ মণ্ডলের মধ্যে "হূং"
এ বীজমন্ত্র লিখিয়া অর্চ্চনা করিবে। যথা - এতে গন্ধপুস্পে
ওঁ আধারশক্তয়ে নমঃ, ওঁ কুর্ম্মায় নম;, ওঁ অনন্তায় নমঃ, অঁ পৃথিব্যৈ নমঃ।
তৎপরে উহার উপরে ত্রিপদিকা আরোপণ করিয়া "হূং ফট্" এই মন্ত্রে শঙ্খ ধুইয়া
মণ্ডলের উপর রাখিবে। মূলমন্ত্র শুদ্ধ জল উহাতে দিয়া - ''মং বহ্নি মণ্ডলায় দশকলাত্মনে নমঃ, এই মন্ত্রে ত্রিপদিকায় - ''অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ'' এই মন্ত্রে শঙ্খে - ''উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শ
কলাত্মনে নমঃ এই মন্ত্রে জলে পূজা করিবে। তদনন্তর শঙ্খস্থ জল
তিনভাগ করিয়া মূলমন্ত্রে গন্ধপুস্প দিয়া পুস্প দূর্ব্বা, গন্ধ ও তণ্ডুলাদিতে অর্ঘ্য সাজাইয়া তদুপরি রাখিয়া ধেনুমুদ্রাদ্বারা
অমৃতীকরণ, মৎস্যমুদ্রায় আচ্ছাদন, তৎপরে অঙ্কুশমুদ্রা দ্বারা জল শোধন করিবে। মন্ত্র যিথা - ''ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব
গোদাবরি সরস্বতি। নর্ম্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।''
মানস-পূজা
বাহ্যপূজাক্রমেণৈব ধ্যানযোগেন পূজয়েৎ। সংপূজ্য চিন্তয়েদ্দেবং
বচসা মনসা হৃদা। তথৈব সাধক্যে লোকে চান্তযোগপরায়ণঃ।। ইতি মুণ্ডমালা তন্ত্রে।
আবাহন
মূলমন্ত্রং সমুচ্চার্য্য সুষুম্নাবর্ত্মনা সুধীঃ। আনীয় তেজঃ স্বস্থানান্নাসিকারন্ধ্র নির্গতম্। করস্থে মাতৃকাম্ভোজে চৈতন্যং পুস্পসঞ্চয়ে। সংযোজ্য পুস্পমধ্যে তৎ সংস্থাপ্যাবাহয়েত্তত। ইতি আগমকল্পদ্রুমঃ।
আবাহনের বিশেষ নিয়ম এই যে মূলমন্ত্র উচ্চারণপূর্ব্বক সুষুম্নাপথে স্বস্থান হইতে
তেজ আনয়ন করতঃ নাসারন্ধ্র পথে নির্গত করিয়া করস্থিত পুস্পসঞ্চয়ে সংস্থান পূর্ব্বক আবাহন
করিবে।
বিনায়কং তথা দূর্গাং বায়ুমাকাশমেব চ।
আবাহয়েদ্ ব্যাহৃতিভিস্থথৈবাশ্বিকুমারকৌ।।
বিনায়ক - অর্থাৎ গণেশ, দূর্গা, বায়ু, আকাশ এবং অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে
ব্যাহৃতি দ্বারা আবাহন করিবে। ব্যাহৃতি ভূভুর্বঃ
স্বঃ।
ইহাগচ্ছ দ্বিধা পৃচ্ছেদিহ তিষ্ঠ দ্বিধা পুনঃ। ইহ শব্দাৎ সন্নিধেহি ইহ সন্নি-পদাত্ততঃ। রুধ্যস্ব-পদমাভাষ্য
কুরুব্দয়মতঃ পরম্।। ইতি সরস্বতীতন্ত্রম্।
প্রাণপ্রতিষ্ঠা
দূর্ব্বা ও আতপ চাউল দেবতার হৃদয়ে ধরিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠ করিবে এবং বাম হস্তে
ঘন্টাধ্বনি করিতে হয়। মন্ত্র যথা -
ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌং সঃ অমুকদেবতায়াঃ প্রাণা হই প্রাণাঃ। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতাঃ জীবঃ ইহ স্থিতঃ। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতায়াঃ সর্ব্বেন্দ্রিয়াণি। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতায়াঃ বাঙ্খনশ্চক্ষুস্ত্বক্শ্রোত্রঘ্রাণপ্রাণা
ইহাগত্য সুখং চিরং তিষ্ঠন্তু স্বাহা। ওঁ মনোজুতির্জুষতামাজ্যস্য
হৃহস্পতির্যজ্ঞমিমং তনোতু। অরিষ্টং যজ্ঞং সমিমং
দধাতু বিশ্বেদেবাস ইহ্ন মাদয়ন্তামোম্ প্রতিষ্ঠা। অস্যৈ প্রাণাঃ প্রতিষ্ঠন্তু অস্যৈ প্রাণাঃ ক্ষরন্তু চ। অস্যৈ দেবত্বসংখ্যায়ৈ স্বাহা।
চক্ষুর্দ্দান
ঘৃত দ্বারা বিল্বপত্রে কাজল প্রস্তুত করিয়া বিল্বপত্রের বোঁটাদ্বারা সেই কাজল দিয়া সেই দেবতার গায়ত্রী পাঠপূর্ব্বক চক্ষুর্দ্দান করিবে। ত্রিনেত্রদেবতা হইলে অগ্রে ঊর্দ্ধনেত্রে, তৎপরে বামনেত্রে দিবে। স্ত্রী দেবতার অগ্রে বাম চক্ষু পরে দক্ষিণ চক্ষু দান করিতে হয়।
করন্যাস
আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ (উভয়হস্তের তর্জ্জনী অঙ্গুলী দ্বারা উভয় হস্তের অঙ্গুষ্ঠ
স্পর্শ করিবে)। ঈং তর্জ্জনীভ্যাং স্বাহা, (অঙ্গুষ্ঠদ্বারা উভয় হস্তের তর্জ্জনী স্পর্শ করিবে)। এইরূপ অঙ্গুষ্ঠদ্বারা পর পর সমস্ত অঙ্গুলি স্পর্শ করিবে)। যথা -
অঙ্গন্যাসক্রম
আং হৃদয়ায় নমঃ। ঈং শিরসে স্বাহা। ঊং শিখায়ৈ বষট্। ঐং কবচায় হূং। ঔং নেত্রাভ্যাং বৌষট্। (দেবতা ত্রিনেত্র হইলে - "ঔং" বেত্রত্রয়ায় বৌষট্" বলিতে হয়)। অঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যামন্ত্রায় ফট্। (তর্জ্জনী ও মধ্যমা দ্বারা বাম হস্তের তলদেশ বেষ্টন করিয়া করতলধ্বনি করিবে)।
অঙ্গন্যাস
হৃদয়ং মধ্যমানামাতর্জ্জনীভিঃ স্মৃতং শিরঃ। মধ্যমা-তর্জ্জনীভ্যাং স্যাদঙ্গুষ্ঠেন শিখা স্মৃতা।। দশভিঃ কবচং প্রোক্তং তিসৃভির্নেত্রমীরিতম্। প্রোক্তাঙ্গুলিভ্যাং-মন্ত্রং স্যাদঙ্গক্লপ্তিরিয়ং মতা।। তর্জ্জনীমধ্যমানামাঃ প্রোক্তা নেত্রত্রয়ে ক্রমাৎ। যদি নেত্রদ্বয়ং প্রোক্তং তদা তর্জ্জনীমধ্যমে। তন্ত্রসারঃ।
মধ্যমা, অনামিকা ও তর্জ্জনী অঙ্গুলীদ্বারা হৃদয়ে, মধ্যমা ও তর্জ্জনীদ্বারা মস্তকে, অঙ্গষ্ঠদ্বারা শিখাস্থানে, সর্ব্বাঙ্গুলি দ্বারা কবচে; তর্জ্জনী ও অনামিকা
এই দুই অঙ্গুলিদ্বারা নেত্রে এবং তর্জ্জনী ও মধ্যমা দ্বারা করতলে ন্যাস করিবে। যদি আরাধ্য দেবতার দুই নেত্র হয়, সেই স্থলে তর্জ্জনী ও মধ্যমাঙ্গুলিদ্বারা নেত্র ন্যাস করিবে। ইহা শড়ঙ্গন্যাস।
যে স্থলে পঞ্চাঙ্গন্যাসের ব্যবস্থা, সেখানে নেত্রপরিত্যাগ করিয়া অপর পঞ্চ অঙ্গে ন্যাস করিবে। বিষ্ণুবিষয়ে উপরিউক্ত অঙ্গুলিনিয়মে ন্যাস করিলে প্রশস্ত হয় না। নিম্নোক্ত বিধানক্রমে তাহা করিতে হয়। যথা -
অনঙ্গুষ্ঠা ঋজবো হস্তশাখা ভবেন্মুদ্রা হৃদয়ে শীর্ষকেহপি।
অধোহঙ্গুষ্ঠা খলু মুষ্টিঃ শিখায়াং করদ্বন্দ্বাঙ্গুলয়ো বর্ম্মণি স্যুঃ।
নারাচমুষ্ট্যূদ্ধ্বতবাহুযুগ্মকাঙ্গুষ্ঠতর্জ্জন্যুদিতো ধ্বনিস্তু।
বিশ্বগ্নিশক্তা কথিতান্ত্রমুদ্রা যত্রাক্ষিণী তর্জ্জনীমধ্যমে চ।।
ব্যাপকন্যাস
ওঁ বা মূলমন্ত্র উচ্চারণপূর্ব্বক হৃদয় হইতে আরম্ভ করিয়া পাদপর্য্যন্ত এবং পা হইতে
হৃদয় পর্য্যন্ত দুই হস্ত প্রসারণপূর্ব্বক গাত্রের অতি সন্নিকট স্থান দিয়া সঞ্চালন করাকে
ব্যাপকন্যাস বলে।
ব্যাপকন্যাস নবধা বা সপ্তধা করিবে, শির হইতে পা পর্য্যন্ত এবং পা হইতে শির পর্যন্ত ঐরূপ ন্যাস করিবে। অথবা ১০৮ বার করিবে।
ঋষ্যাদিন্যাস
ঋষীন্ন্যসেন্মূর্ধ্নিদেশে ছন্দস্তু মুখপঙ্কজে। দেবতাং হৃহয়ে চৈব বীজন্তু গুহ্য-দেশকে। শক্তিঞ্চ পাদয়োশ্চৈব
সর্ব্বাঙ্গে কীলকং ন্যসেৎ। ততস্তু তত্তন্মন্ত্রোক্তন্যাসান্
কুর্ষ্যাদিতি। তন্ত্রসারঃ।
মস্তকে ঋষি,
মুখে ছন্দ, হৃদয়ে দেবতা,
গুহ্যদেশে বীজ, পাদদ্বয়ে শক্তি ও সর্ব্বাঙ্গে কীলক ন্যাস করিবে। যে দেবতার পূজায় যে ঋষি, যে ছন্দঃ, সেই সেই পদ্ধতিতে তাহা উক্ত আছে। এই সকল নামাদি উচ্চারণকরিয়া উক্ত স্থান সকল স্পর্শ করিতে হয়। এস্থলে সাধারণ ক্রমমাত্র লিখিত হইল। যথা -
অমুকমন্ত্রস্য অমুকঋষিঃ অমুকছন্দ অমুকদেবতা অমুকবীজং অমুকশক্তিঃ অমুককীলকং মমইষ্টসিদ্ধ্যর্থে
বিনিয়োগঃ। শিরসি ওঁ অমুকঋষয়ে নমঃ, মুখে অমুকচ্ছন্দসে নমঃ, হৃদি ওঁ অমুকদেবতায়ৈ
নমঃ, গুহ্যে ওঁ অমুকবীজায় নমঃ, পাদয়োঃ ওঁ অমুকশক্তয়ে নমঃ, সর্ব্বাঙ্গে ওঁ অমুককীলকায়
নমঃ।
পীঠন্যাস
আদিতে "ওঁ" এবং অন্তে "নমঃ" শব্দ যোগ করিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্রে নিম্নলিখিতস্থান সমুদয় স্পর্শ করিবে। যথা হৃদি - ওঁ আধারশক্তয়ে নমঃ (এই ক্রমে) প্রকৃত্যৈ, কূর্ম্মায়, অনন্তায়, পৃথিব্যৈ, ক্ষীরসমুদ্রায়, শ্বেতদ্বীপায়, মণিমণ্ডপায়, কল্পবৃক্ষায়, মণিবেদিকায়ৈ, রত্নসিংহাসনায়, দক্ষিণস্কন্ধে ধর্ম্মায়, বামস্কন্ধে জ্ঞানায়, ঊরুদ্বয়ে বৈরাগ্যায়, ঐশ্বর্য্যায়, মুখে অধর্ম্মায়, বামপার্শ্বে অজ্ঞানায়, নাভৌ অবৈরাগ্যায়, দক্ষিণপার্শ্বে অনৈশ্বর্য্যায়, পুনঃ হৃদি অনন্তায়, পদ্মায়, অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশকলাত্মনে নমঃ, উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শকলাত্মনে নমঃ, মং বহ্নিমণ্ডলায় দশকলাত্মনে, হ্রীং জ্ঞানাত্মনে নমঃ।
সংহার মাতৃকান্যাস
সংহারমাতৃকা ধ্যান। অক্ষস্রজং হরিণপোতমুদগ্রটঙ্কং বিদ্যাং করৈরবিরতং দধতীং ত্রিনেত্রাম্। অর্দ্ধেন্দুমৌলিমরুণামরবিন্দবাসাং বর্ণেশ্বরীং প্রণমত স্তনভারনম্রাম্।
মাতৃকান্যাস
অস্য মাতৃকামন্ত্রস্য ব্রহ্মঋষির্গায়ত্রীচ্ছন্দো মাতৃকাসরস্বতী দেবতা হলো বীজানি
স্বরাঃ শক্তয়ঃ মাতৃকান্যাসে বিনিয়োগঃ।
উক্ত মন্ত্রদ্বারা মাতৃকান্যাসের ঋষ্যাদি স্মরণপূর্ব্বক লিখিত স্থলে পুস্প বা অঙ্গুষ্ঠ
ও অনামিকা যোগে ন্যাস (স্পর্শ) করিবে।
শিরসি ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ, মুখে ওঁ গায়ত্রীচ্ছন্দসে
নমঃ, হৃদি ওঁ মাতৃকা সরস্বত্যৈ দেবতায়ৈ নমঃ, গুহ্যে ওঁ হল্ভ্যো বীজেভ্যো নমঃ, পাদয়োঃ ওঁ স্বরেভ্যঃ শক্তিভ্যো নমঃ, সর্ব্বাঙ্গে ওঁ ক্লীং কীলকায় নমঃ।
করন্যাস - ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠ্যাভ্যাং নমঃ। ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জ্জনীভ্যাং স্বাহা। ওঁ ঊং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট্। ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকাভ্যাং হূং। ওঁ ওং পং ফং বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্। ওঁ অং যং রং লং বং শং ষং সং হং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠ্যাভ্যামন্ত্রায় ফট্।
অঙ্গন্যাস - ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায় নমঃ। ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা। ওঁ ঊং টং ঠং ডং ঢং
ণং ঊং শিখায়ৈ বষট্। ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং কবচায় হূং। ওঁ ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রত্রয়ায় বৌষট্। ওঁ অং যং রং লং বং শং ষং সং হং ক্ষং অঃ করতলপৃষ্ঠ্যাভ্যামন্ত্রায় ফট্।
অন্তর্ম্মাতৃকান্যাস।
জ্ঞানার্ণবাদি তন্ত্রে লিখিত আছে যে, মাতৃকার ঋষ্যাদিন্যাস, করন্যাস ও অঙ্গন্যাস
করিবার আগে অন্তর্ম্মাতৃকান্যাস করিবে। দেহমধ্যে আধারাদি ভ্রূমধ্য
পর্য্যন্ত ছয়টি পদ্ম আছে, এ সকল পদ্মে অন্তর্ম্মাতৃকান্যাস
করিতে হয়। কন্ঠস্থলে যে ষোড়শদল পদ্ম আছে, তাহার ষড়শ পত্রে ন্যাস করিবে। যথাঃ ওঁ অং নমঃ, আ নমঃ, ইং নমঃ, উং নমঃ, ঋং নমঃ, ৠং নমঃ, ঌ নমঃ, ষ্টং নমঃ, এং নমঃ, ঐং নমঃ, ওং নমঃ, ঔং নমঃ,অং নমঃ, অঃ নমঃ।
হৃদয়স্থিত দ্বাদশদলপদ্মে - ওঁ কং নমঃ, খং নমঃ, গং নমঃ, ঘং নমঃ, ঙং নমঃ, চং নমঃ, ছং নমঃ, জং নমঃ, ঝং নমঃ, ঞং নমঃ, টং নমঃ, ঠং নমঃ।
নাভিমূলস্থিত দশদলপদ্মে - ওঁ ডং নমঃ, ঢং নমঃ, ণং নমঃ, তং নমঃ, থং নমঃ, দং নমঃ, ধং নমঃ, নং নমঃ, পং নমঃ, ফং নমঃ।
লিঙ্গমূলস্থিত ষড়্দলপদ্মে - ওঁ বং নমঃ, ভং নমঃ, মং নমঃ, যং নমঃ, রং নমঃ, লং নমঃ।
মূলাধারস্থিত চতুর্দ্দলপদ্মে - ওঁ বং নমঃ, শং নমঃ, যং নমঃ, সং নমঃ।
ভ্রূমধ্যস্থিত দ্বিদলপদ্মে - ওঁ হং নমঃ, ক্ষং নমঃ।
বিষ্ণুবিষয়ে আধারাদি মস্তক পর্য্যন্ত ষট্ পদ্মে নিম্নলিখিত বর্ণন্যাস করিবে।
যথা - মূলাধারস্থিত সুবর্ণাভ চতুর্দ্দলপদ্মে - ওঁ বং নমঃ, শং নমঃ, ষং নমঃ, সং নমঃ।
লিঙ্গমূলস্থিত বিদ্যুদাভ ষড়্দলে স্বাধিষ্ঠানপদ্মে - ওঁ বং নমঃ, ভং নমঃ, মং নমঃ, যং নমঃ, রং নমঃ, লং নমঃ।
নাভিমূলস্থিত নীলমেঘপ্রভ দশদল মণিপুরপদ্মে - ওঁ ডং নমঃ, ঢং নমঃ, ণং নমঃ, তং নমঃ, থং নমঃ, দং নমঃ, ধং নমঃ, নং নমঃ, ফং নমঃ।
হৃদয়স্থিত প্রবালরুচিসন্নিভ দ্বাদশদল অনাহত পদ্মে - ওঁ কং নমঃ, খং নমঃ, গং নমঃ, ঘং নমঃ, ঙং নমঃ, চং নমঃ, ছং নমঃ, জং নমঃ, ঝং নমঃ, ঞং নমঃ, টং নমঃ, ঠং নমঃ।
কন্ঠস্থিত ধুম্রবর্ণ ষোড়শদল বিশুদ্ধাখ্যপদ্মে - ওঁ অং নমঃ, আ নমঃ, ইং নমঃ, উং নমঃ, ঋং নমঃ, ৠং নমঃ, ঌ নমঃ, ষ্টং নমঃ, এং নমঃ, ঐং নমঃ, ওং নমঃ, ঔং নমঃ,অং নমঃ, অঃ নমঃ।
ভ্রুমধ্যস্থিত চন্দ্রবর্ণ দ্বিদলপদ্মে হং নমঃ, ক্ষং নমঃ।
হিমবর্ণ বিভূষিত সহস্রারপদ্মে সৃষ্টিস্থিতিপ্রলয়াত্মক পরমশিবের চিন্তা করিবে। ইহাকেই অন্তর্ম্মাতুকান্যাস বলে।
এই প্রকারে অন্তর্ম্মাতুকান্যাস করিয়া বাহ্যমাতৃকান্যাস করিবে। প্রথমে বাহ্যমাতৃকার ধ্যান করিবে।
ধ্যান - পঞ্চাশল্লিপিভিব্বিভক্তমুখদোঃপন্মধ্যবক্ষঃস্থলাং ভাস্যন্মৌলিনিবদ্ধচন্দ্রশকলামাপীনতুঙ্গস্তনীম্। মুদ্রামক্ষগুণং সুধাঢ্যকলসং বিদ্যাঞ্চ হস্তান্বুজৈ-বিভ্রাণাং বিশদপ্রভাং ত্রিনয়নাং
বাগ দেবতামাশ্রয়ে।
এই মন্ত্রে ধ্যান করিয়া ন্যাস করিবে। ন্যাসে অঙ্গুলি নিয়ম
যথা -
ললাটেহনামিকামধ্যে বিন্যসেন্মুখপঙ্কজে। তর্জ্জনীমধ্যমানামা
বৃদ্ধানামে চ নেত্রয়োঃ। অঙ্গুষ্ঠং কর্ণয়োর্ন্যস্য কনিষ্ঠাঙ্গুষ্ঠকৌ নসোঃ। মধ্যাস্তিস্রো গণ্ডয়োস্তু মধ্যমাঞ্চৌষ্ঠয়োর্ন্যসেৎ।
অনামাং দন্তয়োর্ন্যর্স্য মধ্যমামুত্তমাঙ্গকে। মুখেহনামাং মধ্যমাঞ্চৌ হস্তে পাদে চ পার্শ্বয়োঃ। কনিষ্ঠানামিকামধ্যান্তাস্তু পৃষ্ঠে চ বিন্যসেৎ। হৃদয়ে চ তলং সর্ব্বমংশয়োশ্চ ককুৎস্থলে। হৃৎপূর্বং হস্তপৎকুক্ষিমুখেষু
তলমেব চ। এতাশ্চ মাতৃকামুদ্রাঃ ক্রমেণ পরিকীর্ত্তিতাঃ। অজ্ঞাত্বা বিন্যসেদ্ যস্তু ন্যাসঃ স্যাত্তস্য নিস্ফলঃ।
ললাটদেশে অনামিকা ও মধ্যমাঙ্গুলির দ্বারা ন্যাস করিবে। মুখে তর্জ্জনী, মধ্যমা ও অনামিকার
যোগে ন্যাস করিবে। এইরূপ নেত্রদ্বয়ে বৃদ্ধা ও অনামিকা; কর্ণদ্বয়ে কনিষ্ঠা ও অঙ্গুষ্ঠা; গণ্ডদ্বয়ে তর্জ্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা; ওষ্ঠদ্বয়ে মধ্যমা; দন্তপংক্তিদ্বয়ে অনামিকা; মস্তকে মধ্যমা, মুখে অনামিকা ও মধ্যমা; হস্ত, পদ, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠে কনিষ্ঠা অনামিকা ও মধ্যমা; নাভিদেশে কনিষ্ঠা, অনামিকা, মধ্যমা ও অঙ্গুষ্ঠা; উদরে সর্ব্বাঙ্গুলি; বক্ষস্থল, অংশদ্বয় ককুৎস্থল, হৃদয় হইতে হস্ত পর্য্যন্ত, হৃদয় হইতে পাদ পর্য্যন্ত, হৃদয় হইতে উদর পর্য্যন্ত ও হৃদয় হইতে মুখ পর্য্যন্ত, স্থানে হস্ততলদ্বারা ন্যাস করিবে। এই মাতৃকামুদ্রা বলা হইল, এই মুদ্রা না জানিয়া
যে ব্যক্তি অন্যরূপে ন্যাস করিবে, তাহার ন্যাস বিফল হইবে।
ন্যাস করিবার ক্রম
মনসা বা ন্যসেন্ন্যাসান্ পুস্পেণৈবাথ বা ন্যসেৎ।
অঙ্গুষ্ঠানামিকাযোগান্ন্যসেদ্বা সর্ব্বপর্ব্বসু।।
কৃষ্ণবিষয়ক সংক্ষেপভূতশুদ্ধি
স্বকীয় হৃদয়ে ধ্যায়েৎ শ্রীকৃষ্ণচরণাম্বুজম্।
ভূতশুদ্ধিমিমাং প্রাহুঃ সর্ব্বাগমবিশারদাঃ।।
সংক্ষেপে ভূতশুদ্ধি
রং মন্ত্রে আপনার চতুর্দ্দিকে জলধারা দিয়া আপনাকে বহ্নি প্রাচীরের মধ্যবর্ত্তী
ভাবনা করিবে। পরে নাসিকাদ্বয় টিপিয়া ধরিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্র চতুষ্টয় পাঠ
করিয়া দেবতাকে ভাবনা করিলেই সংক্ষেপে ভূতশুদ্ধি হয়। মন্ত্র চতুষ্টয় যথা -
ওঁমূলশৃঙ্গাটাচ্ছিরঃসুষুম্না-পথেনজীবশিবং পরমশিবপদে ষোজয়ামি স্বাহা।।১
ওঁ যং লিঙ্গশরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা।।২
ওঁ রং সঙ্কোচশরীরং দহ দহ স্বাহা।।৩
ওঁ পরমশিব সুষুম্নাপথেন মূলসৃঙ্গাটমুল্লাসোল্লস জ্বল জ্জ্বল প্রজ্জ্বল প্রজ্জ্বল
হংসঃ সোহহা স্বাহা।।৪ভূতশুদ্ধি
রমিতি জলধারয়া বহ্নিপ্রাকারং বিচিন্ত্য স্বাঙ্কে উত্তানৌ করৌকৃত্বা সোহহমিতি মন্ত্রেণজীবাত্মানং-
হ্রদয়স্থংদীপকলিকাকারং মূলাধারস্থিতকুলকুণ্ডলিন্যা সহসুষুম্না বর্ত্মনা মূলাধার- স্বাধিষ্ঠান-
মণিপুরকানাহত-বিশুদ্ধাজ্ঞাখ্য শট্চক্রাণি ভিত্ত্বা শিরোহবস্থিতাধো মুখ সহস্রদলকমল-কর্ণিকান্তর্গত
পরমাত্মনি সংযোজ্য তত্রৈব পৃথিব্যপতেজোবাষাকাশ-গন্ধ-রূপ-রস-স্পর্শ-শব্দ-নাসিকা-জিহ্বা-চক্ষুত্বক্
শ্রোত্রবাক্পাণি পাদ পায়ুপস্থ-প্রকৃতিমনোবুদ্ধ্যহঙ্কারচতুর্ব্বিংশতি-তত্ত্বানি লীনানি
বিভাব্য যমিতি বায়ুবীজং ধুম্রবর্ণং বামনাসাপুটে বিচিন্ত্য তস্য ষোড়শবারজপেন বায়ুনা
দেহমাপুর্য্য নাসাপুটৌ ধৃত্বা চতুঃষষ্টিবারজপেন কুম্ভকং কৃত্বা বামকুক্ষিস্থ-কৃষ্ণবর্ণপাপ-পুরুষেণ
সহ দেহং সংশোষ্য তস্য দ্বাত্রিংশদ্বারজপেন দক্ষিনাসয়া বায়ুং রেচয়েৎ। পুনর্দক্ষিণনাসাপুটে রমিতি বহ্নিবীজং রক্তবর্ণং ধ্যাত্বা তস্য শোড়শবারজপেন বায়ুনা
দেহমাপুর্য্য নাসাপুটৌ ধৃত্বা তস্য চতুঃষষ্টিবারজপেন কুম্ভকং ক্ত্বা কৃষ্ণবর্ণ-পাপপুরুষেণ
সহ মূলাধারোখিতেন বহ্নিনা দগ্ধা তস্য দ্বাত্রিংশদ্বারজপেন বামনাসয়া ভস্মনা সহ বায়ুং
রেচয়েৎ। ততঃ ঠমিতি চন্দ্রবীজং শুক্লবর্ণং বামনাসায়াং ধ্যাত্বা তস্য ষোড়শবারজপেন
ললাটে চন্দ্রং নীত্বা নাসাপুটো ধৃত্বা বমিতি বরুণবীজস্য চতুঃষষ্টিবারজপেন ললাটস্থচন্দ্রাদ্গলিতসুধয়া
মাতৃকাবর্ণাত্মিকয়া সমস্তদেহং বিরচষ্য লমিতি পৃথ্বীবীজস্যদ্বাত্রিংশদ্বারজপেন দেহং
সুদৃঢ়ং বিচিন্ত্য দক্ষিণনাসয়া বায়ুং রেচয়েৎ। ততো হংস ইতি মন্ত্রেণ
জীবাদিকং স্ব স্ব স্থানে সংস্থাপ্য দেবরূপমাত্মানং বিচিন্তয়েৎ।
এইগুলি মনোযোগ সহকারে বিশেষরূপে চিন্তা করিবে। "রং" মষে জলের ধারা দিয়া বহ্নিপ্রাকার (যেন চতুর্দিকে বহ্নি দ্বারা বেষ্টিত
স্থানে বসিয়া আছি)। এইরূপ চিন্তা করতঃ চিৎভাবে হস্তদ্বয় উপর্য্যুপরি (ক্রোড়ে) রাখিয়া
"সোহহং" এই মন্ত্রে হৃৎপ্রদেশস্থ দীপকলিকাকার জীবাত্মাকে মূলধারস্থিত কুলকুণ্ডলিনীর
সহিত সুষুম্নাপথে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ এবং আজ্ঞা নামক ষট্চক্র (চতুর্দ্দল, ষড়্দল, দশদল, দ্বাদশদল ও ষোড়শদল ও দ্বিদলপদ্ম) ভেদ করিয়া শিরোহবস্থিত অধোমুখ
সহস্রদল কমলের কর্ণিকামধ্যস্ব পরমাত্মাতে সংযোগ করিয়া তথায় দৈহিক পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ, গন্ধ, রূপ, রস, স্পর্শ, শব্দ, নাসিকা, জিহ্বা, চক্ষু, ত্বক, কর্ণ, বাক, হস্ত, পদ, পায়ু, উপস্থ, প্রকৃতি, মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার এই চতুর্ব্বিংশতি তত্ত্বকে বিলীন ভাবনা করিয়া তৎপরে
অঙ্গুষ্ঠদ্বারা বামনাসাপুট রোধ করিয়া যং এই ধুম্রবর্ণ বায়ু বীজ চিন্তা করিয়া প্রাণায়ামানুসারে
১৬ বার জপ করতঃ বামনাসা দ্বারা সমস্তদেহ বায়ুতে আপূরণ করিবে। পরে উভয় নাসা টিপিয়া ধরিয়া ঐ যং বীজটি ৬৪ বার জপ করিতে করিতে কৃষ্ণবর্ণ পাপপুরুষের
সহিত নিজ দেহ শোধন চিন্তা করিবে। তৎপরে ঐ "যং" বীজ ৩২ বার জপে দক্ষিণনাসা দ্বারা বায়ু ত্যাগ করিবে। পরে দক্ষিণনাসাপুটে "রং" রক্তবর্ণ এই বহ্নিবীজ চিন্তা করিয়া ১৬ বার জপপূর্ব্বক
বায়ুদ্বারা দেহ পূরণ করিবে এবং ৬৪ বার জপে কুম্ভক করিয়া মূলধারোত্থিত বহ্নিদ্বারা কৃষ্ণবর্ণ
পাপপুরুষ সহিত দগ্ধ চিন্তা করিয়া পূনরায় বত্রিশবার জপে বামনাসা দ্বারা দগ্ধীভূত পাপপুরুষের
ভস্মের সহিত বায়ু পরিত্যাগ করিবে। পরে "ঠং"
এই চন্দ্রবীজ শুক্লবর্ণ চিন্তা করিয়া ১৬ বার জপে পূর্ব্বরূপ দেহপূরণ পূর্ব্বক
"রং" এই বরুণবীজ ৬৪ বার জপে কুম্ভক করিয়া ললাটে চন্দ্র আনয়ন করিয়া চন্দ্র
বিগলিত মাতৃকাবর্ণাত্মিকা সুধাদ্বারা সমস্ত দেহ পূনরায় রচনা করিবে। পরে "লং" পৃথ্বীবীজটীকে চিন্তা করিয়া ৩২ বার জপে দেহকে সুদৃঢ় চিন্তা
করিয়া দক্ষিণনাসা দ্বারা বায়ু ত্যাগ করিবে। অনন্তর "হংসঃ"
এই মন্ত্রে জীবাত্মাকে বিলীন কুলকুণ্ডলিনী সহ চতুর্বিংশতি তত্ত্বকে স্ব স্ব স্থানে
স্থাপন করিয়া নিজ শরীরকে অভীষ্টদেবের সদৃশ চিন্তা করিবে।
ভূতশুদ্ধিং ততঃ কুর্ষাৎ প্রাণায়ামক্রনেণ চ।। ইতি জ্ঞানার্ণবে।
প্রাণায়ামের অনুক্রমানুসারে ভূতশুদ্ধি করিয়া হয়।প্রাণায়াম
পুরয়েৎ ষোড়শৈর্বায়ুং ধারয়েত্তচ্চতুর্গুণৈঃ। রেচয়েৎ কুম্ভকার্দ্ধেন অশক্ত-স্তত্তুরীয়তঃ। তদশক্তৌ তচ্ছতুর্থ্যা এবং প্রাণস্য সংযমঃ। প্রাণায়ামং বিনা মন্ত্রী পূজনে নৈতি যোগ্যতাম্। কনিষ্ঠানামিকাঙ্গুষ্ঠৈর্যন্নাসাপুটধারণম্। প্রাণায়ামঃ স বিজ্ঞেয়স্তর্জ্জনীমধ্যমে বিনা। জ্ঞানার্ণবে।
দক্ষিণহস্তের অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা দক্ষিণনাসাপুট ধারণ করতঃ বায়ূ রোধ করিয়া ওঁ অথবা
মূলমন্ত্র ষোড়শবার জপ করিতে করিতে নাসাপুট দিয়া বায়ূ পূরণ করিয়া কনিষ্ঠা ও অনামিকা
অঙ্গুলি দ্বারা বামনাসাপুট ধারন করিয়া বায়ু রোধ করিয়া ওঁ বা মূলমন্ত্র প্রথমবারের চতুর্গুণ
- অর্থাৎ চৌষট্টিবার জপ করিতে করিতে কুম্ভক করিবে, তৎপরে অঙ্গুষ্ঠ দক্ষিণনাসা হইতে তুলিয়া ওঁ বা মূলমন্ত্র বত্রিশবার জপ করিতে করিতে
দক্ষিনাসাপুট দ্বারা ক্রমে ক্রমে রেচক করিবে। বামহস্তে কর-রেখায় জপের সংখ্যা রাখিবে।
একইভাবে পুনশ্চ বিপরীতক্রমে - অর্থাৎ শ্বাস ত্যাগের পর ঐ দক্ষিণনাসা দ্বারাই পূর্ব্ববৎ
ওঁ অথবা মূলমন্ত্র জপ করিতে করিতে পুরক এবং উভয় নাসা ধরিয়া কুম্ভক ও শেষ রেচক করিতে
হইবে। অতঃপর পুনরায় অবিকল প্রথমবারের ন্যায় নাসা ধারণক্রমানুসারে পুরক, কুম্ভক এবং রেচক করিবে।
মাষভক্তবলি
নিজ বামে গোময়ের দ্বারা ত্রিকোণ মণ্ডল লিখিয়া তাহার উপরে পূজা করিবে, - "এতে অন্ধপুস্পে ওঁ ক্ষেত্রপালাদিভূতগণেভ্যো নমঃ" এই মন্ত্রে
পাদ্যাদি দ্বারা পূজা করিয়া খুরি বা বিল্বপত্রের উপরে মাষকলাই, দধি ও হরিদ্রাচুর্ণ একত্রে মিশ্রিত করিয়া তাহার অর্চ্চনা করতঃ
নিবেদন করিয়া দিবে, -
ওঁ মাষভক্তবলয়ে নমঃ। এষ মাষভক্তবলিঃ ওঁ ক্ষেত্রপালাদিভূত-গণেভ্যো নমঃ।।
নিবেদনান্তে প্রার্থনা মন্ত্র যথা - ওঁ ভূতপ্রেতপিশাচাশ্চ দানবা রাক্ষসাশ্চ যে। শান্তিং কুর্ব্বন্তুতে সর্ব্বে ইমং গৃহ্নন্তু মদ্বলিম্।
সামান্যার্ঘ্য
ভূমিতে ত্রিকোণ মণ্ডল করিয়া তাহার উপরে গন্ধপুস্প দ্বারা পূজা করিবে।
ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ, ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ, ওঁ অনন্তায় নমঃ, ওঁ পৃথিব্যৈ নমঃ।
তৎপরে 'ফট্' এই মন্ত্রে অর্ঘ্যপাত্র
প্রক্ষালন করিয়া,পরে ত্রিপদিকার উপরে স্থাপন করিবে। "ওঁ" এই মন্ত্রে সেই পাত্র জলে পূর্ণ করিয়া পূজা করিবে।
মন্ত্র যথা - মং বহ্নিমণ্ডলায় দশকলাত্মনে নম, অং সুর্য্যমণ্ডলায় দ্বাদশকলাত্মনে নমঃ উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শকলাত্মনে নমঃ।
তৎপরে পাত্রস্থ জল বিভাগ করিয়া গন্ধ, পুস্প ও দূর্ব্বা প্রভৃতি প্রদান করিয়া ধেনুমুদ্রাদ্বারা অমৃতীকরণ করিয়া মৎস্যমুদ্রাদ্বারা
আচ্ছাদন করতঃ অঞ্চুশমুদ্রাদ্বারা সেই জলে তীর্থ আবাহন করিবে। যথা -
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি। নর্ম্মদে সিন্ধুকাবেরি
জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।
তৎপরে "ওঁ" এই মন্ত্র অর্ঘ্যপাত্রের উপর দশবার জপ করিয়া সেই জলের ছিটা
মস্তকে ও পূজার উপকরণে দিবে।
শ্বেত সরিষা বা আতপ তণ্ডুল লইয়া নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করিয়া তাহা চতুর্দ্দিকে ছিটাইয়া
দিবে। মন্ত্র যথা, - ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা ভুবি সংস্থিতাঃ। যে ভূতা বিঘ্নকর্ত্তারস্তে নশ্যন্তু শিবাজ্ঞয়া।।
তান্ত্রিক ঘটস্থাপন
ঘট শুদ্ধির জন্য "ক্লীং" এই মন্ত্রে জলদ্বারা ঘটে প্রোক্ষণ করিবে, "ঐং" মন্ত্রে ঘট শোধন করিবে। "হ্রীং মন্ত্রে ঘটস্থাপন করিয়া 'হ্রীং' মন্ত্রে ঘট জলপূর্ণ করিবে। অনন্তর নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠপূর্ব্বক তীর্থন্যাস করিবে। যথা -
ওঁ গঙ্গাদ্যাঃ সরিতঃ সর্ব্বাঃ সরাংসি জলদা নদাঃ। হ্রদাঃ প্রস্রবণাঃ পূণ্যাঃ স্বর্গপাতালভূগতাঃ। সর্ব্বতীর্থানি পূণ্যানি ঘটে কুর্ব্বন্তু সন্নিধিম্।।
যজুর্ব্বেদি ঘটস্থাপন
সুলক্ষণ ঘটে ধান্য, দুর্ব্বা, পুস্প; সিন্দুর ও চন্দনাদি
দিয়া পাঠ করিবে।
ভূমি - ওঁ ধান্যমসি ধিনুহি দেবান্ ধিনুহি যজ্ঞম্। ধিনুহি যজ্ঞপতিং ধিনুহি মাং যজ্ঞন্যম্।।
ঘটে ওঁ আজিঘ্র কলশং মহ্যা ত্বা বিশন্ত্বিন্দবঃ। পুনরূর্জ্জা নিবর্ত্তস্ব, সা নঃ সহস্রং ধুক্ষোরুধারা
পয়স্বতী, পুনর্মা বিশতাদ্রয়িঃ।
জলে - ওঁ বরুণস্যোত্তম্ভনমসি, বরুণ স্কম্ভসর্জ্জনী
স্থঃ বরুণস্য ঋতসদন্যসি। বরুনস্য ঋতসদনমাসীদ।
পল্লব - ওঁ ধন্বনা গা ধন্বনাজিং জয়েম, ধন্বনা তীব্রাঃ সমদো জয়েম। ধনুঃ শত্রোরপকামং কৃণোতি
ধন্বনা সর্ব্বাঃ প্রদিশো জয়েম।।
ফল - ওঁ যাঃ ফলিনীর্ষা অফলা অপুস্পা যাশ্চ পুস্পিণীঃ। বৃহস্পতিপ্রসূতাস্তা নো মুঞ্চন্ত্বগুঁহসঃ।।
সিন্দুর - ওঁ সিন্ধোরিব প্রাধ্বনে শুঘনাসো বাতপ্রমিয়ঃ পতয়ন্তি যহ্বাঃ। ঘৃতস্য ধারা অরুষো ন বাজী, কাষ্ঠা ভিন্দন্নূর্ম্মিভিঃ
পিন্বমানঃ।।
দূর্ব্বা - ওঁ কাণ্ডাৎ কাণ্ডাৎ প্ররোহন্তি পুরুষঃ পরুষঃ পরি। এবা নো দূর্ব্বে প্রতনু সহস্রেণ শতেন চ।।
পুস্প - ওঁ শ্রীশ্চ তে লক্ষ্মীশ্চ পত্ন্যা অহোরাত্রে পার্শ্বে নক্ষত্রাণি রূপমশ্বিনৌ
ব্যাত্তম্। ইষ্ণন্নিষাণামুম্ম ইষাণ, সর্ব্ব লোকং ম ইষান।।
গন্ধ - ওঁ গন্ধদ্বারাং দুরাধর্ষাং নিত্যপুষ্টাং করীষিণীম্। ঈশ্বরীং সর্ব্বভূতানাং ত্বামিহোপহ্বয়ে শ্রিয়ম্।।
বস্ত্র - ওঁ যুবা সুবাসাঃ পরিবীত আগাৎ স উ শ্রেয়ান্, ভবতি জায়মানঃ। তং ধীরাসঃ কবয় উন্নয়ন্তি
সাধ্যা মনসা দেবয়ন্তঃ।।
স্থিরীকরণ - ওঁ সর্ব্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্ব্বদেবসমন্বিতম্। ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবগণৈঃ সহ।।
স্থাং স্থীং স্থিরো ভব বিড্ব
ঙ্গ আশুর্ভব বাজ্যর্ব্বন্ পৃথুর্ভব।
সুষদস্ত্বমগ্নেঃ পূরীষবাহন।
অনন্তর গায়ত্রী পাঠ করিবে।
কোন কোন কার্য্যে ঘটের চারিদিকে কাণ্ড চতুষ্টয় আরোপণের (তীভ পোঁতার) বিধি আছে এবিং
তাহাতে লালরঙ্গের সূতা বেষ্টন করে হয়।
ঋগ্বেদী ঘটস্থাপন
ভূমিতে হস্ত দিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ উর্ব্বী সদ্মনী
বৃহতি ঋতেন হুবে দেবানামবসা জনিত্রী। দধাতে যে অমৃতং সুপ্রতীকে
দ্যাবা রক্ষতং পৃথিবী নো অভাৎ।।
ধান্যে হস্ত দিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ ধানাবন্তং করম্ভিণমপুপবন্তমুক্থিনম্। ইন্দ্র প্রাতর্জুযস্ব নঃ।
ঘটে হস্ত দিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ এতানি ভদ্রা কলশ
ক্রিয়াম্ কুরু শ্রবণ দদতো মঘানি। দান ইদ্বো মঘবানঃ সো
অস্ত্বয়ং চ সোমো হৃদি যং বিভর্ম্মি।।
জল স্পর্শ করিয়া পড়িবে, - ওঁ বরুণস্যোত্তম্ভনমসি
বরুণস্য স্কম্ভসর্জ্জনী স্থঃ। বরুনস্য ঋতসদন্যসি। বরুনস্য ঋতসদনমসি। বরুনস্য ঋতসদনমাসীদ।।
ফলে হস্ত দিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ যাঃ ফলিনীর্যা অফলা
অপুস্পা যাশ্চ পুস্পিণীঃ। বৃহস্পতি প্রসূতাস্তা নো মুঞ্চন্ত্বংহসঃ।।
স্থিরীকরণ,
- ওঁ স্থিরো ভব বীড্বঙ্গ, আশুর্ভব বাজ্যর্ব্বন্। পৃথুর্ভব সুষদস্ত্বমগ্নেঃ পুরীষবাহনঃ।।
পরে কৃতাঞ্জলি হইয়া - ওঁ সর্ব্বতীর্থোদ্ভবং বারি ইত্যাদি পাঠ করবে।
সামবেদীয়-ঘটাস্থাপন
ভূমিতে হাত দিয়া পাঠ করিয়া হইবে, - ওঁ ভূমিরন্তরীক্ষং দ্যৌর্দ্বা ভূতায়াঃ।
ধান্যে হাত দিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ ধানাবন্তং করম্ভিণমপুপবন্তমুক্থিম্। ইন্দ্র প্রাতর্জুষস্ব নঃ।।
ঘট ধরিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ আবিশন্ কলশং সুতো
বিশ্বা অর্যন্নভিশ্রিয়ং। ইন্দুরিন্দ্রায় ধীয়তে।।
জলে হাত দিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ আ নো মিত্রাবরুণা
ঘৃতৈর্গব্যুতি মুক্ষতম্। মধ্বা রজাংসি সুক্রতু।।
পল্লব ধরিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ অয়মূর্জ্জাবতো বৃক্ষ
উর্জ্জীব ফলিনী ভব। পর্ণং বনস্পতে নুত্ত্বা নুত্ত্বা চ সূয়তাং রয়িঃ।
ফল ধরিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ ইন্দ্রং নরো বেমধিতা
হবন্তে যৎ পার্য্যা যুনজতে ধিয়স্তাঃ। শূরো নৃষাতা শ্রবসশ্চ
কাম আ গোমতি ব্রজে ভজা ত্বং নঃ।। (বস্ত্রের মন্ত্র যজুর্বেদী
ঘটস্থাপন দেখুন)
পুস্প ধরিয়া পাঠ কর্যবে, - ওঁ পবমান ব্যশ্নুহি
রশ্মিভির্বাজ সাতমঃ দধৎ স্তোত্রে সুবীর্য্যম্।।
সিন্দুর স্পর্শ কর্যা পাঠ করিবে, - ওঁ সিন্ধোরুচ্ছ্বাসেপতয়ন্তমুক্ষণং হিরণ্যপাবাঃ পশুমপ্সুগৃভ্বতে।।
স্থিরীকরণ (ঘটে হাত দিয়া পাঠ করিবে) - ওঁ ত্বাবতঃ পুরূবসো বয়মিন্দ্র প্রণেতঃ। স্মসি স্থাতর্হরীণাম্।। স্থাং স্থীং স্থীরো
ভব।
হাত জোড় করিয়া পাঠ করিবে - ওঁ সর্ব্বতীর্থোদ্ভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম্। ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ঠ দেবগণৈঃ সহ।।
দেবী পূজায়,
- তিষ্ঠ দেবীগণৈঃ সহ।।
অতঃপর ঘটের উপর গায়ত্রী পাঠ করিবে।ঘটস্থাপন
ষট্ত্রিংশদঙ্গুলায়াং ষোড়শাঙ্গুলমুচ্চকৈঃ। চতুরঙ্গুলকং কন্ঠং মুখং তস্য ষড়ঙ্গুলম্। পঞ্চাঙ্গুলমিতং মূলং বিধানং ঘটনির্ম্মিতেঃ।। ইতি মহানির্ব্বাণতন্ত্রম্।
বিস্তার ষট্ত্রিংশং অঙ্গুলী, উচ্চে ষোড়শ অঙ্গুলী, কন্ঠ চারি অঙ্গুলি, মুখের বিস্তার ছয় অঙ্গুলি এবং তলদেশ পঞ্চাঙ্গুলিপরিমিত - ঘট নির্ম্মাণের ইহাই বিধি।
সৌবর্ণং রাজতং তাম্রং কাংস্যজং মৃত্তিকোদ্ভবম্। পাষাণং কাচজং বাপি ঘটমক্ষতমব্রণম্। কারয়েদ্দেবতাপ্রীত্যৈ
বিত্তশাষ্ঠ্যং বিবর্জ্জয়েৎ।
সুবর্ণ, রজত, তাম্র, কাংস্য অথবা মৃত্তিকানির্ম্মিত, কিম্বা পাহাণ বা কাচজ ঘটই দেবতার প্রীতিপ্রদ হইয়া থাকে। কিন্তু প্রত্যেক লোকেরই যেন স্মরণ থাকে যে, কর্মের ফললাভ করিতে হইলে, ঘট নির্মাণে যেন বিত্তশঠতা
না ঘটে অর্থাৎ অবস্থানুযায়ী ঘট দান করা হয়। ঘট সুদৃশ্য ও অক্ষত
হওয়া চাই।
সৌবর্ণং ভোগদং প্রোক্তং রাজতং মোক্ষদায়কম্। তাম্রং প্রীতিকরং জ্ঞেয়ং কাংস্যজং পুষ্টিবর্দ্ধনম্।। কাচং বশকরং প্রোক্তং পাষাণং স্তম্ভকর্ম্মণি। মৃন্ময়ং সর্ব্বকার্য্যেষু সুদৃশ্যং সুপরিস্কৃতম্।।
হেমঘট ভোগদ এবং রজত-ঘট মোক্ষদায়ক বলিয়া উক্ত হইয়াছে। প্রীতিকর কার্য্যে তাম্র ও পুষ্টিবর্দ্ধনে কাংশ্যজ ঘট, বশীকরণে কাচ ও স্তম্ভনকার্য্যে পাষাণ ঘট প্রশস্ত। মৃত্তিকানির্ম্মিত ঘট পরিস্কৃত ও সুদৃশ্য হইলে সর্ব্বকার্য্যেই প্রশস্ত হয়।
নবরত্নং পঞ্চরত্নং ঘটমধ্যে বিনিক্ষিপেৎ।
তদভাবে মহেশানি সুবর্ণঞ্চ প্রদাপয়েৎ।।
ঘটমধ্যে নবরত্ন ও পঞ্চরত্ন প্রদান করিবে। তাহার অভাব হইলে কেবল সুবর্ণ প্রদান করিবে।
ভূমির্ধান্যং ঘটশ্চৈব জলং পল্লবমেব চ। ফলং পুস্পঞ্চ সিন্দূরং
স্থিরীকরণমেব চ।। ঘটস্থাপনে ভূমি, ধান্য, ঘট, জল, পল্লব (পঞ্চপল্লব দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, যথা -
কর শুদ্ধি
"ঐং" মন্ত্র দ্বারা একটি রক্তবর্ণ পুস্প গ্রহণ করিয়া "ওঁ" এই মন্ত্রে ঐ পুস্প করদ্বয়ে পেষণ করতঃ "হেসৌঃ" মন্ত্রে ঐ পুস্প ঈশানকোণদেশে প্রক্ষেপ করিবে।
পুস্পশুদ্ধি
পুস্পগুলি স্পর্শ করিয়া পাঠ করিবে -
ওঁ পুস্পে পুস্পে মহাপুস্পে সুপুস্পে পুস্পসম্ভবে।
পুস্পচয়াবকীর্ণে হূং ফট্ স্বহা।।জলশুদ্ধি
অংঙ্কুশ মুদ্রা দ্বারা কোশার জলে তীর্থ আবাহন করিয়া পাঠ করিবে -
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি।
নর্ম্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু।।আসন শুদ্ধি
যে আসনে বসিয়া পূজা করিবে, তাহার নিম্নে ত্রিকোণ
মণ্ডল লিখিয়া আসনের উপর একটি পুষ্প দিয়া পাঠ করিবে, এতে গন্ধপুষ্পে ওঁহ্রীঁ আধার শক্তি-কমলাসনায় নমঃ।
তৎপরে আসন ধরিয়া পাঠ করিবে, - আসনমন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠঋষিঃ
সুতলং ছন্দঃ কুর্ম্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ।
অনন্তর হাত জোড় করিয়া পাঠ করিবে, - ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা
লোকাদেবি ত্ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা। ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং
পবিত্রং কুরু চাসনম্।সংকল্প বিধি
সংকল্পেন বিনা রাজন্ যৎকিঞ্চিৎ কুরুতে নরঃ।
ফলঞ্চাল্পাল্পকং তস্য ধর্ম্মস্যার্দ্ধক্ষয়ো ভবেৎ।।
সংকল্প না করিয়া মানুষ যে কোন কার্য্য করে, তাহার পূর্ণ ফলভাগী হয় না এবং ধর্ম্মের অর্দ্ধেক ভাগ ক্ষয় হয়।
শক্তিশঙ্খাশ্চহস্তৈশ্চ কাংস্যরৌপ্যাদিভিস্তথা।
সঙ্কল্পো নৈব কর্ত্তব্যো মৃন্ময়েন কদাচন।। ভবিষ্যে।
শঙ্খে, ঝিনুকে, শুধুহস্তে, কাংস্যপাত্রে, রৌপ্যপাত্রে,
প্রস্তরপাত্রে এনং মাটির পাত্রে কদাচ সংকল্প
করিবে না।
গৃহীত্বৌডুম্বরং পাত্রং বারিপুর্ণং গুণান্বিতম্। দর্ভত্রয়ং সাগ্রমূলং ফলপুষ্প-তিলান্বিতম্। জলাশয়ারামকূপে সংকল্পে পূর্ব্বদিষ্মুখ। সাধারণে চোত্তরাস্য
এশান্যং নিক্ষিপেৎ রপ্যঃ।। ইতি ভবিষ্যে।
ঔডুম্বর অর্থাৎ তাম্রাদি পাত্রে জল পূর্ণ করিয়া মূল ও অগ্রভাগের সহিত তিনটি কুশ
ফল ও তিল লইয়া সঙ্কল্প করিতে হয়। জলাশয়, উপবন ও কূপ প্রতিষ্ঠাকালে পূর্ব্বাভিমুখ, অন্যান্য সাধারণ কার্য্যে উত্তরমুখ হইয়া সংকল্প করিবে। সঙ্কল্পের মন্ত্রপাঠ করিয়া পাত্রস্থ জল ঈশানকোণে কিঞ্চিৎ নিক্ষেপ করিতে হয়।
হরীতকীফলং শ্রেষ্ঠং সঙ্কল্পে বিধিপূর্ব্বকম্।
তদভবে চ রম্ভা বা ন গুবাকং কদাচন।।
সঙ্কল্প করিতে হরীতকীই শ্রেষ্ঠ, তাহার অভাবে রম্ভা দিবে, কিন্তু সুপারি কদাচ
দিতে নাই।
সঙ্কল্প করিয়া সূক্তমন্ত্র পাঠ করিতে হয়। সূক্তমন্ত্র বেদভেদে পৃথক পৃথক।
সামবেদীয় সঙ্কল্পসূক্ত।
ওঁ দেবো বো দ্রবিণোদাঃ পূর্ণাং বিবষ্টাসিচম্। উদ্বা সিঞ্চধ্ব-মুপ বা পৃণধ্বমাদিদ্বো দেব ওহতে।। ওঁ সঙ্কল্পিতার্থস্য সিদ্ধিরস্তু।
যজুর্ব্বেদীয়-সঙ্কল্পসূক্ত।
ওঁ যজ্জাগ্রোতো দূরমুদৈতি দৈবং তদু সুপ্তস্য তথৈবৈতি। দূরঙ্গমং জ্যোতিষাং জ্যেতিরেকং তন্মে মনঃ শিবসংকল্পমস্তু।
ঋগ্বেদীয়-সংকল্পসূক্ত।
ওঁ যা গুঁগূর্যা সিনীবালী যা রাকা যা সরস্বতী। ইন্দ্রাণীমহ্ব ঊতয়ে বরুণানীং চ স্বস্তয়ে।।
সংকল্প মাস।
আব্দিকে পিতৃকৃত্যে তু মাসশ্চান্দ্রমসঃ স্মৃতঃ।
বিবাহাদৌ স্মৃতঃ সৌরো যজ্ঞাদৌ সাবনো মতঃ।।
পিতৃকার্য্যে অর্থাৎ - শ্রাদ্ধাদিতে চান্দ্রমাস, বিবাহাদিতে সৌরমাস ও যজ্ঞাদিতে সাবন মাসের উল্লেখ করিবে।
সৌর, চান্দ্র ও সাবন; - মাসের এই ত্রিবিধ নাম।
চন্দ্রের ত্রিশ তিথিতে এক চান্দ্রমাস হয়। চন্দ্রমাস এই প্রকার - মুখ্যচান্দ্র ও গৌণ-চান্দ্র। শুক্লা প্রতিপদ হইতে অমাবস্যা পর্য্যন্ত ত্রিশ তিথিকে মুখ্য চান্দ্রমাস বলে। আর কৃষ্ণা প্রতিপদ হইতে পূর্ণিমা পর্য্যন্ত ত্রিশ তিথিতে গৌণ চান্দ্রমাস বলে।
আচমন বিধি
প্রক্ষাল্য পাণী পাদৌ চ ত্রিঃ পিবেদম্বু বীক্ষিতম্।। সম্বৃত্যাঙ্গুষ্ঠমূলেন দ্বিঃ প্রমৃজ্যাত্ততো মূখম্।। সংহত্য তিসৃভিঃ পূর্ব্বমাস্যমেবমুপস্পৃশেৎ। অঙ্গুষ্ঠেন প্রদেশিন্যা ঘ্রাণং পশ্চাদনন্তরম্।। অঙ্গুষ্ঠানামিকাভ্যাঞ্চ চক্ষুঃশ্রোত্রে পুনঃ পুনঃ। বাভিং কনিষ্ঠাঙ্গুষ্ঠেন হৃদয়ন্তু তলেন বৈ।। সর্ব্বাভিস্তু শিভঃ পশ্চাদ্বাহূ চাগ্রেণ সংস্পৃশেৎ। এবং কৃত্বা পয়ঃ পীত্বা বিষ্ণুং স্মৃত্বা শুচির্ভবেৎ।। ইতি স্মৃতিঃ।।
দুই পা এবং দুই হাত ধুইয়া, হস্তে মাষপরিমাণ জল
লইয়া তাহা দর্শন করতঃ তিনবার পান করিবে, পরে দুই হাত ধুইয়া ফেলিয়া মস্তকে ও পদে জলের ছিটা দিবে, দক্ষিণ হস্তের বাঁকান অঙ্গুষ্ঠমূল দ্বারা দুইবার মুখ মার্জ্জন
করিবে। অনন্তর অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জ্জনী ও মধ্যমা এই তিন অঙ্গুলি মিলিত করিয়া
মুখ স্পর্শ করিবে,
অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জ্জনীর দ্বারা নাসিকা স্পর্শ
করিয়া, তৎপরে অঙ্গুষ্ঠ এবং অনামিকা অঙ্গুলি দ্বারা চক্ষুর্দ্বয় ও তৎপরে
কর্ণদ্বয় পুনঃ পুনঃ স্পর্শ করিবে। তৎপরে অঙ্গুষ্ঠ ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি
মিলনে নাভিদেশ এবং হস্ততল দ্বারা বাহুদ্বয় স্পর্শ করত; বিষ্ণুস্মরণপূর্ব্বক শুচি হইবে।
গোকর্ণাকৃতিহস্তেন মাষমগ্নং জলং পিবেৎ।
তন্ন্যুনমধিকং বাপি পিবেচ্চেদ্রুধিরন্তু তৎ।।
হাতের তেলো গরুর কাণের ন্যায় করিয়া, একটি মাষকলাই ডুবিতে পারে, এতটুকু পরিমাণ জল লইয়া
আচমনের সময় তাহাই পান করিবে, তিনবার তিন অঞ্জলি
ততটুকু জল লইতে হয়। তাহার অধিক বা অল্প জল পান করিলে, শোণিতপানের ফল হয়।
অঙ্গুল্যগ্রে তীর্থং দ্বৈহং স্বল্পাঙ্গুল্যোর্মূলে কায়ম্।
মধ্যেহঙ্গুষ্ঠাঙ্গুল্যোঃ পৈত্রং মূলে অঙ্গুষ্ঠস্য ব্রাহ্মম্।। ইত্যমরঃ।।
সমস্ত অঙ্গুলির অগ্রভাগকে দৈবতীর্থ বলে। কনিষ্ঠা ও অনামিকার
মূলদেশকে কায়তীর্থ বলে। অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জ্জনীর মধ্যদেশকে পৈত্রতির্থ এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির
মূলদেশকে ব্রাহ্মতীর্থ বলে। আচমন সময়ে এই ব্রাহ্মতীর্থে
জল লইয়া আচমন করিতে হয়।
বৃদ্ধাঙ্গুলিকে অঙ্গুষ্ঠ, তৎপরে অঙ্গুলিকে ক্রমে
তর্জ্জনী, মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্ঠা
বলে।
বিষ্ণুস্মরণ মন্ত্র - ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ
পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ।
দিবীব চক্ষুরাততম্।। ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু।
শূদ্রাচমন।
অয়মেত বিধিঃ প্রোক্তঃ শূদ্রাণাং মন্ত্রবর্জ্জিতঃ।
অমন্ত্রস্য তু শূদ্রস্য বিপ্রমন্ত্রেণ গৃহ্যতে।।
শূদ্রদিগের বেদমন্ত্রে অধিকার নাই। বিপ্র ভিন্ন কাহারও
বেদমন্ত্রে অধিকার নাই। স্ত্রীলোকদিগেরও বেদমন্ত্রের অধিকার নাই, এই বিধি হইতেছে। অতএব স্ত্রী ও শূদ্র
প্রণব ( ওঁ ) স্বাহা প্রভৃতি বেদোক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করিবে না; ব্রাহ্মণ পাঠ করিবে, কার্য্যবিশেষে শূদ্রাদি কেবল মন্ত্র শ্রবণ করিবে। কার্য্যবিশেষে পৌরাণিক মন্ত্রপাঠে স্ত্রী ও শূদ্রগণের অধিকার আছে।
স্ত্রী শূদ্রের আচমনে দৈবতীর্থ দ্বারা; - অর্থাৎ নমস্ত অঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা ওষথে জলের ছিটা দিয়া "নমো বিষ্ণু, নমো বিষ্ণু'' এইরূপ বিষ্ণুস্মরণ - পূর্ব্বক নিম্নলিখিত পৌরাণিক মন্ত্র পাঠ করবে, যথা -
নমঃ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্ব্বাবস্থাং গতোহপি বা।
যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।
তান্ত্রিক আচমন।
ওঁ আত্মতত্ত্বায়
স্বাহা। ওঁ বিদ্যাতত্ত্বায় স্বাহা। ওঁ শিবতত্ত্বায় স্বাহা।
ক্রমে এই তিন মন্ত্রে তিনবার জলপান করিয়া আচমন করিবে।
স্বস্তিবাচন।
পরে গন্ধপুস্পাদি দ্বারা ব্রাহ্মণত্রয়ের পূজা করিয়া তাহাদিগের হস্তে তণ্ডুল প্রদানান্তর
করযোড়ে পাঠ করিবে।
"ওঁ কর্ত্তব্যেহস্মিন্ অমুককর্ম্মণি - ওঁ পুণ্যাহং ভবন্তোব্রুবন্তু।" - ইহা তিনবার পাঠ করিবে।
ব্রাহ্মণগণও নিজ নিজ হস্তস্থিত আতপ চাউল পরিত্যাগ করিতে করিতে তিনবার পাঠ করিবেন
-
ওঁ পুণ্যাহং ওঁ পুণ্যাহং ওঁ পুণ্যাহম্।
"ওঁ কর্ত্তব্যেহস্মিন্ অমুককর্ম্মণি - ওঁ স্বস্তি ভবন্তোব্রুবন্তু।" - ইহা তিনবার পাঠ করিলে পূর্ব্ববৎ আতপ চাউল বিকীর্ণ করিতে করিতে ব্রাহ্মণগণ তিনবার
পাঠ করিবেন - ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।
"ওঁ কর্ত্তব্যেহস্মিন্ অমুককর্ম্মণি - ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু।" - ইহা পূর্ব্ববৎ তিনবার পাঠ করিলে ব্রাহ্মণগণ হস্তস্থিত চাউল পরিত্যাগ করিতে করিতে
পাঠ করিবেন -
ওঁ ঋধ্যতাং ওঁ ঋধ্যতাং ওঁ ঋধ্যতাং। অনন্তর স্ববেদোক্ত
স্বস্তিবাচন পাঠপূর্ব্বক আতপ তণ্ডুল নিক্ষেপ করিয়া এই মন্ত্র পাঠ করিবে, যথা -
"ওঁ কর্ত্তব্যেহস্মিন্ অমুককর্ম্মণি - ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু।" ইহা পূর্ব্ববৎ তিনবার পাঠ করিলে ব্রাহ্মণগণ হস্তস্থিত চাউল বিকীর্ণ করিতে করিতে
পাঠ করিবেন - ওঁ ঋধ্যতাং ওঁ ঋধ্যতাং ওঁ ঋধ্যতাম্। অনন্তর স্ববেদোক্ত স্বস্তিবাচন পাঠপূর্ব্বক আতপ তণ্ডুল নিক্ষেপ করিয়া এই মন্ত্রপাঠ
করিবে, যথা -
ওঁ সূর্য্যঃ সোমো যমঃ কালঃ সন্ধ্যে ভূতান্যহঃ ক্ষপা। পবনো দিক্পতির্ভূমিরাকাশং খচরামরাঃ। ব্রাহ্মং শাসনমাস্থায়
কল্পধ্বমিহ সন্নিধিম্।। ওঁ তৎসৎ অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু।।
স্ত্রী শূদ্র হইলে ""নমো নমঃ"" মাত্র বলিবে, পুরোহিতই মন্ত্র পাঠ করিবেন। যে ক্রিয়ার জন্য স্বস্তিবাচন, "অমুক কর্ম্মণি"
স্থলে তাহার নাম উল্লেখ করিবে। এই স্বস্তিবাচন ত্রিবেদীয়েরাই
করিতে পারেন। বেদোক্ত বিশেষ স্বস্তিবাচন মন্ত্র পৃথক্ লিখিতে হইল।
সামবেদীয়-স্বস্তিবাচন।
ওঁ সোমং রাজানং বরুণমগ্নিমন্বারভামহে। আদিত্যং বিষ্ণুং সূর্য্যং
ব্রহ্মাণঞ্চ বৃহস্পতিম্।। ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি
ওঁ স্বস্তি।।
যজুর্বেদীয়-স্বস্তিবাচন।
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্ত্যি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ। স্বস্তি নস্তার্ক্ষ্যোঅরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দধাতু।। ওঁ গণানাং ত্বা গণপতিগুং হবামহে, ওঁ প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতিগুং হবামহে, ওঁ নিধীনাং ত্বা নিধিপতিগুং হবামহে, বসো মম। ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।।
ঋগবেদীয়-স্বস্তিবাচন।
ওঁ স্বস্তি নো মিমীতামশ্বিনা ভগঃ স্বস্তি দেব্যদিতিরনর্বণঃ। স্বস্তি পুষা অসুর দধাতু নঃ। স্বস্তি দ্যাবাপৃথিবী
সুচেতনা।। ওঁ স্বন্তয়ে বায়ুমুপ ব্রুবামহৈ সোমং স্বস্তি ভুবনস্য যস্পতিঃ। বৃহস্পতিং সর্ব্বগণং স্বস্তয়ে স্বস্তয়, আদিত্যাসো ভবন্তু নঃ। ওঁ বিশ্বে দেবা নো অদ্যা স্বস্তয়ে, বৈশ্বানরো বসুরগ্নিঃ স্বস্তয়ে। দেবা অবন্ত্বভবঃ স্বস্তয়ে স্বস্তি নো রুদ্রঃ পাত্বংহসঃ। ওঁ স্বস্তি মিত্রাবরুণা স্বস্তি পথ্যে রেবতি স্বস্তি ন ইন্দ্রশ্চাগ্নিশ্চ স্বস্তি
নো অদিতে কৃধি। ওঁ স্বস্তি পন্থামনু চরেম সূর্য্যাচন্দ্রমসাবিব পুনর্দ্দদতাঘ্নতা
জানতা সং গমেমহি। ওঁ স্বস্ত্যয়নং তার্ক্ষ্যমরিষ্টনেমিং, মহদ্ভুতং বায়সং দেবতানাম্। অসুরঘ্ন-মিন্দ্রসখং সমৎসু বৃহদ্যশো নাবমিবা রুহেম।। ওঁ অংহো মুচমাঙ্গিরসং গয়ঞ্চ স্বস্ত্যাত্রেয়ং মনসা চ তার্ক্ষ্যং প্রযতপাণিঃ শরণং
প্রপদ্যে স্বস্তি সংবাধেস্বভয়ং নো অস্তু।। ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি
ওঁ স্বস্তি।
তান্ত্রিক-স্বস্তিবাচন।
হ্রীঁ হূঁ স্বস্তি নঃ কাত্যায়নী হ্রূং অপর্ণাশ্রবা হ্রূঁ স্বস্তি নঃ কালী হ্রৌং
মেধামৃতময়ী হ্রীঁ স্বস্তি নঃ প্রত্যঙ্গিরা দেবতা দধাতু হ্রীঁ স্বস্তি হ্রীঁ স্বস্তি
হ্রীঁ স্বস্তি।
তান্ত্রিক স্বস্তিসূক্তম্।
ওঁ সর্ব্বশ্চ দেবশ্চ বিভীতকঞ্চ প্রভঞ্জতাং মেরুঃসুবর্ণদায়ী।
কালোদ্ধ মা মা সচেন্দ্রিয়াং শ্রিয়ো বিবিক্তরাগাশ্চ পুনর্ভবায় বৈ।।পুরোহিত-দর্পণ - প্রথম খন্ড
অচিন্ত্যায়াপ্রমেয়ায় ব্রহ্মণে সগুণায় চ। নির্গুণায় জগদ্বীজরূপায় ভাস্বতে নমঃ।।